img

বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশে আসছে এটা জানার পর থেকেই এই ট্রফি একনজর দেখার জন্য আগ্রহভরে অপেক্ষা করছে দেশের ক্রীড়ামোদী জনতা। বুধবার (৮ জুন) ঢাকায় এসে পৌঁছাবে এ সোনালি ট্রফি। অবধারিতভাবে ট্রফি দেখার মুহূর্তটা স্মৃতিতে ধরে রাখতে চাইবে মানুষ। চাইবে ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে। তবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল মনে করেন, দেখার সুযোগ পেলেও ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পাবেন না সবাই।

মঙ্গলবার (৭ জুন) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আসার বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, 'ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার আগ্রহ সবার। ৯ জুন আর্মি স্টেডিয়ামে ট্রফিটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে আমাদের জানানো হয়েছিল। অধিক সংখ্যক লোক উপস্থিত হবে স্বাভাবিকভাবে সবাই ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ নাও পেতে পারে।'

বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশে আসছে মূলত ফিফার কমার্শিয়াল পার্টনার কোকাকোলার ব্যবস্থাপনায়। তারই তদারকি করছেন সবকিছু। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কোকাকোলার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। ট্রফির বাংলাদেশ আগমন ও নিরাপত্তা ইত্যাদি নিয়ে সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে রাসেল বলেন, 'আমরা কোকাকোলার সঙ্গে মাস খানেক আগে সভা করেছি। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ ট্রফির নিরাপত্তা এবং অন্যান্য দিক নিয়েও প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।'

ট্রফির সফরসূচি নিয়েও কথা বলেন বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে দেখানোর পর বৃহস্পতিবার সাধারণের জন্য আর্মি স্টেডিয়ামে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ট্রফি। তিনি বলেন, 'আগামীকাল ট্রফিটি ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। এরপর বিকেলের দিকে রাষ্ট্রপতির বাসভবনে নেয়া হবে। সন্ধ্যার পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। সংসদ অধিবেশন চলমান থাকায় সময় কিছুটা আগে-পরে হতে পারে।'

৯ বছর পর বিশ্বকাপ ট্রফি আসছে বাংলাদেশ। ব্রাজিল বিশ্বকাপের আগে ২০১৩ সালে এই ট্রফি বাংলাদেশে আনা হয়েছিল। বিগতবারেও কোকাকোলার উদ্যোগে ট্রফি বাংলাদেশ এসেছিল। গতবার ট্রফির আগমন ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছিল কোকাকোলা ও বাফুফে। তবে এবার কোনো পক্ষই এ ধরনের কোনো সংবাদ সম্মেলন না করায় ট্রফি উৎসবে সাধারণের প্রবেশাধিকার নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর